শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি।।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি রাস্তা দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের ঐচারমাঠ বাজার থেকে পশ্চিম মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থী, বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন ঐচারমাঠ বাজারের ব্যবসায়ী, পশ্চিম মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। ওই রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে প্রায়ই।
ওই ঝুঁকিপূর্ন রাস্তায় চলাচলকারী পশ্চিম মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রথিন হালদার বলেন, প্রায়দিনই স্কুলে যাওয়ার পথে দুঘর্টনার শিকার হই। সাইকেল চালিয়ে যাওয়া এখন খুবেই কষ্টকর। তাই বাধ্য হয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের।
এলাকাবাসী এলজিইডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও বাজারে আসা পথচারী ও যানবাহন চালকদের। পথচারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঐচারমাঠ বাজার থেকে পশ্চিম মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত একটি অন্যতম সড়ক এটি।
পশ্চিম মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মালতী রানী মিস্ত্রি জানান, আমাদের বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হলেও বিদ্যালয়ে আসার জন্য একটি পাকা রাস্তা ছিল না। গত ৬ বছর পূর্বে রতœপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ইটের সলিং করে রাস্তাটি নির্মান করা হলেও বর্তমানে রাস্তার বেশির ভাগ স্থানেই ইট না থাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুক্তা গাইন, পিটু হালদার, শতাব্দী রায় জানান, এই বিদ্যালয়ে ১২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ছোট ছোট শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে প্রায়ই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অমল চন্দ্র হালদার জানান, রাস্তার বেশির ভাগ স্থানেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। আমি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদারের মাধ্যমে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেব।
এই রাস্তায় চলাচলকারী ঐচারমাঠ বাজার ব্যবসায়ী অসিম হালদার, রাজু বালা, অনিল হালদারসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এ রাস্তাটি নির্মানের সময় নি¤œমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। নির্মানের কিছুদিন পরই তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। পশ্চিম মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থী ও বাজারে আসা লোকজন এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এজন্য চলাচলের উপযোগী করার জন্য অতিদ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
স্থানীয় মঞ্জু রানী তালুকদার জানান, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুঘর্টনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে।
রতœপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদার জানান, বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ন রাস্তা এটি। শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীদের চলাচলে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের তৈরি করা। তারপরও আমাদের কাছে আবেদন করলে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সরেজমিন গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।